ফের লকডাউনে দেশ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ভয়াবহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩৭৩ দিন পর আবারও সারা দেশে আগামীকাল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি খোলা থাকবে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট পরিবহনও। এর বাইরে শুধু শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট অনুযায়ী কাজ করবেন। সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

লকডাউনের সময় বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল। তবে উড়োজাহাজের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকছে। এদিকে লকডাউন ঘোষণার পরেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ গতকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন। বাস, ট্রেন, লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় গতকাল বিকাল থেকে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

লকডাউনের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল বিকালে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব, আইজিপি, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সব ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। দীর্ঘক্ষণ চলা এই বৈঠক বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে নেওয়া সুপারিশগুলো প্রস্তাবনা আকারে রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলে যে কোনো সময় জারি করা হবে লকডাউন কার্যকরের প্রজ্ঞাপন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল থেকে লকডাউন চলাকালে সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন, পণ্যবাহী ট্রেন, শিল্পের কাঁচামাল, সংবাদপত্রের গাড়ি, দূতাবাসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া যাত্রীবাহী কোনো বাস, ট্রেন বা লঞ্চ চলবে না। খাবার হোটেলে খাবার পরিবেশন করা যাবে না। তবে বাসাবাড়িতে পার্সেল পাঠানো যাবে। খোলা থাকবে কাঁচাবাজার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেগা প্রকল্পের কাজ যথারীতি চলবে। গার্মেন্ট শিল্প কলকারখানা চালু থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন-জীবিকা সচল রেখেই করোনা সংক্রমণ রোধে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে লকডাউনে শপিং মল, মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে দৈনিক চার ঘণ্টা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা করা, জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

লকডাউন কেমন হতে পারে- সেই প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে মানুষ মনে করে ছুটি হয়েছে, ঘুরতে চলে যায়। এ কারণে এবার লকডাউন দেওয়া হয়েছে। সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। সংক্রমণ পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে গেলে লকডাউন দেওয়ার চিন্তা সরকারের আগেই ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে ১৮ দফা যে প্রস্তাব করা হয়েছিল তা অনেক ভেবেচিন্তে, অনেকের পরামর্শ নিয়ে করা হয়েছে। সরকার শুরুতে সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করেনি। এখন আস্তে আস্তে কঠোর হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত সভায় মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, সম্পূর্ণ লকডাউন চেয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। কমপক্ষে দুই সপ্তাহ বলা হয়েছিল। অত্যাবশকীয় সেবা ছাড়া সব বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না এমন নির্দেশনার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

আপাতত সাত দিন, পরে বিবেচনা : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আপাতত সাত দিনের লকডাউন দেওয়া হলেও লকডাউনের শেষের দিকে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন কেন, তা জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত সাত দিন লকডাউন দিচ্ছি। আশা করছি, এই সাত দিন মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখতে পারলে সংক্রমণ রোধ করতে পারব। নয়তো সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাবে।

মানুষের নানা বিষয় আছে, সেগুলো সাত দিন লকডাউনের শেষের দিকে বিবেচনা করব, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব। আপাতত সাত দিন থাকবে।’ এর আগে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডের বাসা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বলেন, লকডাউনে জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে। শিল্পকারখানাও খোলা থাকবে। শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট (পালা করে) অনুযায়ী কাজ করবেন।

গতকাল সকালে ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায়, সংক্রমণ রোধ করার স্বার্থে সরকার দু-তিন দিনের মধ্যে সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে লকডাউন চলাকালে শুধু জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আর শিল্পকলকারখানা খোলা থাকবে, যাতে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন শিফটে কাজ করতে পারে।

বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট : লকডাউনের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, লকডাউনের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল আগামীকাল থেকে বন্ধ থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল অব্যাহত থাকবে। আন্তমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লেনদেন চলবে শেয়ারবাজারে, ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আজ : লকডাউনে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে। ব্যাংকের লেনদেনও চলবে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি মেনে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি কী হবে সে সম্পর্কে আজ নির্দেশনা প্রদান করা হবে। মহামারীর জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিলেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে কোনো সমস্যা হবে না।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম চালু থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। আর এখন বিনিয়োগকারীদের কোনো সমস্যা হবে না, যেহেতু সব স্বয়ংক্রিয়। বিনিয়োগকারীরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বা ফোনে লেনদেন করতে পারবেন। নিয়ম মেনে ব্রোকারেজ হাউসগুলো খোলা থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আর্থিক খাত স্বাভাবিক রাখতে ব্যাংক লেনদেন চালু রাখার বিকল্প নেই। গত বছর লকডাউনের মধ্যে যেভাবে লেনদেন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে এবারও তেমনভাবে রাখা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আজ ব্যাংক লেনদেনের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে।

ঢাকা ছাড়ছে মানুষ : আগামীকাল থেকে লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেক মানুষ। খবর পাওয়ার পরপরই তারা বাস, রেলস্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালের দিকে ছোটেন। এদিকে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনার কারণে বাসে আসন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক যাত্রী।

রাজধানীর কল্যাণপুরের এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টারের ব্যবস্থাপক বাবু আহমেদ বলেন, ‘শনিবার দুপুর থেকে যাত্রীদের ফোনের পর ফোন আসা শুরু হয়। এখন যারা ফোন দিচ্ছেন, সবাইকে বলতে হচ্ছে আর একটি টিকিটও অবশিষ্ট নেই। কারণ, রবিবার রাত পর্যন্ত সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। মনে হলো, ঈদের সময়ও টিকিট বিক্রি করার জন্য এত ফোন আসে না।’

রয়েল বাস কাউন্টারের গাবতলীর ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাল রাত পর্যন্ত সব টিকিট শেষ। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সবাই কাউন্টারে এসে টিকিট কিনে নিয়ে গেছে। ফোনের এত চাপ ছিল যে, আমরা ফোন ধরাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য লোকজনের ভিড় বেড়েছে। এ কারণে ডেকে ও সিটে ৫০ শতাংশ যাত্রী ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও অনেক লঞ্চ তা পারেনি। তবে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ ভাড়া ঠিকই আদায় করছে। ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চের ডেক ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। তবে কেবিন ভাড়া আগের মতোই রয়েছে। লকডাউনে জরুরি পণ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ ঘোষণার পরপরই রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বাড়ে।

বাংলাদেশে যেভাবে শুরু হয় লকডাউন : সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বছর ২৩ মার্চ প্রথমবার ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। শুরুতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা। সে সময় সব অফিস-আদালত, কলকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ছুটির মধ্যে সব কিছু বন্ধ থাকার সেই পরিস্থিতি ‘লকডাউন’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

কিন্তু তাতে নিম্নবিত্তের জীবন-জীবিকা আর দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা অস্তিত্ব সংকটে পড়লে বিভিন্ন মহলের দাবিতে সরকার ৩১ মের পর থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করতে থাকে। বছরের শেষে এসে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা ছাড়া আর সব কড়াকড়িই উঠে যায়। ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখেই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখার ভাবনা থেকে মাঝে পুরো দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি এলাকায় সেই ব্যবস্থা চালানোও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা এগোয়নি।

খুলনায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে বাজার-দোকান বন্ধ : করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনা নগরীতে সন্ধ্যা ৭টার পর বাজার-দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখাসহ পাঁচ দফা নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এর আগে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। ৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ?ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

বিডি প্রতিদিন

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!