০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

লকডাউনের ৪র্থ দিন স্বরূপে ফিরেছে লাকসাম বাজারের চিত্র

  • তারিখ : ০৭:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • / 575

মোজাম্মেল হক আলম :

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের আজ ৪র্থ দিন। লকডাউনের শুরুতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকলেও ৪র্থ দিন শনিবার লাকসাম বাজারের পূর্বেকার মতো চালু হয়েছে দোকানপাট।

দোকানীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের এক সাটার খোলা রেখে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। অপরদিকে জনসমাগমও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জনসমাগম ও ব্যবসায়িদের আনাগোনায় স্বরূপেই ফিরেছে লাকসাম বাজারের চিত্র।

সরেজমিনে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার, পৌর ওয়ার্ডের অলিগলিসহ বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে ছোট ছোট চায়ের দোকান এবং ভ্রাম্যমান দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। যেখানে দেখা গেছে জনসাধারণের ভিড়ের চিত্রও।

প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছে। লকডাউন চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করছে উপজেলা প্রশাসন।

দ্বিতীয় ধাপের একসপ্তাহের লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথম দুই দিন দোকানপাট বন্ধ থাকলেও ৪র্থ দিনে বিভিন্ন অলিগলিতে ছোট ছোট দোকান, স্টল খোলা থাকতে দেখা গেছে। যাতে রয়েছে লোক জনের ভিড়।

পুলিশ দোকান খুলতে নিষেধ করলেও তা মানছে না দোকাননিরা। কয়েক জায়গায় দেখা গেছে পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করে দিয়ে গেছে। মেইন রোডের পাশের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও বন্ধ করছে না গলির ভেতরে দোকানগুলো। ক্রেতারাও জমাট বেঁধে দোকানের সামনে বসে আছে। মানা হচ্ছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।

লাকসাম বাইপাসের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আবুল কালাম (কালু) বলেন, লকডাউন প্রথম দিন একটু বেশি ছিল এখন কমে গেছে। সকালবেলা পুলিশ একটু ঝামেলা করে বিকেল হলে সব আগের মতোই চলে। সবারই তো চলতে হবে। এই লকডাউনে মানুষ চলাচল করছেই, শুধু আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের যত ভোগান্তি হচ্ছে।

বাইপাসের ব্যবসায়ি খোকন মিয়া বলেন, সরকার লকডাউন দিয়েছে আমাদের রক্ষা করার জন্য। কিন্তু পেটতো চলেনা ঘরে বসে থাকলে। নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে সামনে নিয়ে এবং প্রশাসনকে উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হয়েছি। তাছাড়া কিছুই করার নেই।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারী করোনা থেকে রক্ষা পেতে জনসাধারণকে দিনরাত বুঝাচ্ছি।

কিছু কিছু মানুষ আমাদেরকে ফাঁকি দিয়ে বাজারে আসছে। মাঝে মাঝে তাদেরকে ঘরের বাহির হতে নিরুৎসাহিত করতে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। আশা করি জনসাধারণ যদি আমাদের সহযোগীতা করে তাহলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন।

শেয়ার করুন

লকডাউনের ৪র্থ দিন স্বরূপে ফিরেছে লাকসাম বাজারের চিত্র

তারিখ : ০৭:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

মোজাম্মেল হক আলম :

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের আজ ৪র্থ দিন। লকডাউনের শুরুতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকলেও ৪র্থ দিন শনিবার লাকসাম বাজারের পূর্বেকার মতো চালু হয়েছে দোকানপাট।

দোকানীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের এক সাটার খোলা রেখে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। অপরদিকে জনসমাগমও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জনসমাগম ও ব্যবসায়িদের আনাগোনায় স্বরূপেই ফিরেছে লাকসাম বাজারের চিত্র।

সরেজমিনে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার, পৌর ওয়ার্ডের অলিগলিসহ বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে ছোট ছোট চায়ের দোকান এবং ভ্রাম্যমান দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। যেখানে দেখা গেছে জনসাধারণের ভিড়ের চিত্রও।

প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছে। লকডাউন চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করছে উপজেলা প্রশাসন।

দ্বিতীয় ধাপের একসপ্তাহের লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথম দুই দিন দোকানপাট বন্ধ থাকলেও ৪র্থ দিনে বিভিন্ন অলিগলিতে ছোট ছোট দোকান, স্টল খোলা থাকতে দেখা গেছে। যাতে রয়েছে লোক জনের ভিড়।

পুলিশ দোকান খুলতে নিষেধ করলেও তা মানছে না দোকাননিরা। কয়েক জায়গায় দেখা গেছে পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করে দিয়ে গেছে। মেইন রোডের পাশের দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও বন্ধ করছে না গলির ভেতরে দোকানগুলো। ক্রেতারাও জমাট বেঁধে দোকানের সামনে বসে আছে। মানা হচ্ছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।

লাকসাম বাইপাসের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আবুল কালাম (কালু) বলেন, লকডাউন প্রথম দিন একটু বেশি ছিল এখন কমে গেছে। সকালবেলা পুলিশ একটু ঝামেলা করে বিকেল হলে সব আগের মতোই চলে। সবারই তো চলতে হবে। এই লকডাউনে মানুষ চলাচল করছেই, শুধু আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষের যত ভোগান্তি হচ্ছে।

বাইপাসের ব্যবসায়ি খোকন মিয়া বলেন, সরকার লকডাউন দিয়েছে আমাদের রক্ষা করার জন্য। কিন্তু পেটতো চলেনা ঘরে বসে থাকলে। নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে সামনে নিয়ে এবং প্রশাসনকে উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হয়েছি। তাছাড়া কিছুই করার নেই।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারী করোনা থেকে রক্ষা পেতে জনসাধারণকে দিনরাত বুঝাচ্ছি।

কিছু কিছু মানুষ আমাদেরকে ফাঁকি দিয়ে বাজারে আসছে। মাঝে মাঝে তাদেরকে ঘরের বাহির হতে নিরুৎসাহিত করতে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে। আশা করি জনসাধারণ যদি আমাদের সহযোগীতা করে তাহলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন।