কুমিল্লার দেবিদ্বারে মা মেয়েসহ নতুন আরও পাঁচজন করোনা শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কুমিল্লার দেবিদ্বারে মা মেয়েসহ নতুন আরও পাঁচজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। রোববার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নতুন স্থাপিত আর টি পিসিআর ল্যাব থেকে প্রাপ্ত ১৮টি নমুনার মধ্যে পাঁচটি পজেটিভ ও ১৩ টি নেগেটিভ পাওয়া যায়।

এ নিয়ে দেবিদ্বার উপজেলায় মোট পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন ২০ জন। নতুন শনাক্ত হওয়া পাঁচজন হলেন বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া নিউমার্কেট সদরের পান বাজারের ‘শঙ্কর হোমিও হল’র স্বত্ত্বাধিকার ডা. সুকুমার চন্দ্র দে’র সংস্পর্শে থাকা তার নাতি অনিক চন্দ্র দে, ভাতিজার বউ অর্চনা দে, অর্চনা দে’র মেয়ে পুষ্পিতা দে পূজা, দোকানের কর্মচারী সৈকত ঘোষ এবং বাসার ভাড়াটিয়া সেলুন ব্যবসায়ী সুজন চন্দ্র দাস। রবিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহাম্মদ কবীর।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা সদরের পান বাজারের শঙ্কর হোমিও হল এর মালিক ডা. সুকুমার চন্দ্র করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পুরে ওইদিন দুপুরে তার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। এর আগে বুধবার তার সংস্পর্শে থাকা শঙ্কর হোমিও হল এর কর্মচারী উত্তর গুনাইঘর ইউপি’র মো. নুরুল ইসলামের রিপোর্ট পজেটিভ আসলে উপজেলা প্রশাসন তার বাড়িসহ আশ পাশের প্রায় ১০/১২ টি বাড়ি লকডাউন করে দেন।

একই দিনে সন্ধ্যায় পানবাজারের শঙ্কর হোমিও হলও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এদিকে, ডা. সুকুমার চন্দ্র দে এর বাসার ভাড়াটে সুজন চন্দ্র দাস চান্দিনা রোডের সমবায় মার্কেটের একটি সেলুনে কাজ করতেন। তিনি গত কয়েকদিন ধরে লডডাউনের মধ্যেও দোকানের সাঁটার ফেলে সেলুনের ভিতরে কাজ করেছেন বলে জানান তার এক ঘনিষ্ট ব্যক্তি। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ওই ব্যক্তি আরও বলেন, লক ডাউনের মধ্যে সেলুনে কাজ না করতে তাকে বার বার বলা হলেও তিনি কারও কথা শোনেননি।

প্রতিদিনই কাজ করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহাম্মদ কবীর জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নতুন স্থাপিত আর টি পিসিআর ল্যাব থেকে প্রাপ্ত ১৮টি নমুনার মধ্যে পাঁচটি পজেটিভ ও ১৩ টি নেগেটিভ পাওয়া যায়। পজিটিভ সবগুলোই মৃত সুকুমার চন্দ্র দে’র সাথে সম্পর্কিত। এদের মধ্যে তার পরিবারের সদস্য, ভাড়াটিয়া ও কর্মচারী রয়েছেন। তাদের দোকান ও বাসা আগে থেকেই লক ডাউন করা আছে। এছাড়াও গতকাল শুক্রবার দেবিদ্বারের নবীয়াবাদ এলাকা থেকে সংগৃহীত আরও ১৮ জনের নমুনা আজকে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কাল বা পরশু এদের রিপোর্ট আসতে পারে।

তিনি আরও জানান, দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সর্বমোট ৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরসহ কুমিল্লা মেডিকেল ল্যাবে পাঠানো হয়েছিলো।৯০ টি রিপোর্টই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে। এর মধ্যে ৭০ জনের নেগেটিভ ও ২০ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায় । এর মধ্যে পজেটিভ শনাক্ত হওয়া তিনজন মারা যান। একজন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে, বাকী পজিটিভ ১৬ জন নিজেদের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!