১১ দিনে ক্ললেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন পুরস্কার পেলেন দেবিদ্বার থানার ওসি তদন্ত ছমিউদ্দিন

আকতার হোসেন (রবিন) :

ক্ললেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুরষ্কার পেলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছমিউদ্দিন। গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট ২০২১ইং) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) তাকে কৃতিত্ব পূর্ণ কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ক্রেষ্ট, নগদ অর্থ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

জানা যায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছমিউদ্দিন এর নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কাজেসহায়ক টিমের এসআই আলমগীর, এসআই সোহরাব, এসআই মাহবুব, কম্পিউটার অপারেটর-কনষ্টেবল তানভীর, রবিউলসহ গত ০২ জুলাই ক্লুলেস ডাকাতি মামলার ঘটনায় ১১ দিনের মধ্যেই কুমিল্লা জেলার দুর্ধর্ষ ৫ ডাকাত, ডাকাতির স্বর্ণালংকার চোরাকারবারী ও অর্থায়নকারীসহ জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত ১০ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও জড়িত ৩ জন আসামীর ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারো ক্তিমূলক জবান বন্দী রেকর্ড করতে সক্ষম হয়।

সূত্র থেকে জানা যায়, গত ০২ জুলাই রাত অনুমানিক ৩টা থেকে ৪ টার মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ রেজাউল করিমের দেবিদ্বার থানাধীন কাবিলপুরস্হ (কুরচাপ) গ্রামের বাড়িতে একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাঃ রেজাউল করিমের মা রহিমা খাতুন (৭৫) এর গলায় রাম দা ধরে ও মারধর করে বেড রুমের ওয়ার ড্রপ ও ষ্টীলের আলমারী থেকে বিপুল পরিমান স্বর্ণালংকার, একটি মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে এই বিষয়ে ডাঃ রেজাউল করিম বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু করলে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান এর নির্দেশে মামলাটির তদন্ত শুরু করেন দেবিদ্বার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছমিউদ্দিন।

চাঞ্চল্যকর ও ক্ললেস মামলাটি রুজু করার পর প্রযুক্তির সহায়ত নিয়ে ০২ দিনের মাথায় দেবিদ্বার থানাধীন এলাহাবাদ (উটখারা) গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত রফিককে গ্রেফতার করতে সক্ষমহয় থানা পুলিশ। পরদিন দেবিদ্বার ও বুড়িচং থানা পুলিশের সাথে যৌথ অভিযানে বুড়িচং থানার ইন্দ্রাবতী গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত সোহেলকে ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে আসামীদের ডাকাতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। এরই মধ্যে উক্ত ডাকাতির ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডাকাত আবুল ও ডাকাত রুহুল আমিন কে চান্দিনা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।

সর্বশেষ দেবিদ্বার থানাধীন ছোটনা গ্রামের ডাকাত আনোয়ারকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য মতে বুড়িচং থানার কালা কচুয়া বাজারে দেবিদ্বার ও দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেক্লুলেস ডাকাতির ঘটনার মুল পৃষ্টপোষক স্বর্ণ ব্যবসায়ী রিপন চন্দ্র সাহাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তার বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা কওে ডাকাত দলের লুন্ঠিত ১০ ভরি ২ আনা স্বর্ণেও পুরাটাই (গলিয়ে ফেলার পর ৮ভরি ৭ আনা, যার মূল্য ০৫ লাখ ৩০ হাজার) উদ্ধার করা হয়। এর পর রিপন চন্দ্র সাহা গত ১৪ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

এ দিকে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত ০৭ জন সহ মোট মোট ০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এবং ২ জন ডাকাত ও ডাকাতির পূষ্ঠপোষক রিপন চন্দ্র সাহাসহ মোট ৩ জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, এ ডাকাতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছমি উদ্দিন করোনা ভাইরাসে ও আক্রান্ত হয়ে ছিলেন।

দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছমিউদ্দিন কুমিল্লা জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), মামলাটির সরাসরি তদারককারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার সার্কেল এর সিনিয়র এএসপি আমিরুল্লাহ, দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান, ‘সকলের সহযোগিতায় ভালো কিছু করতে পেরে আমি পুরস্কার পেয়েছি। এতে আমার কাজের মনোবল আরো শক্তিশালী হয়েছে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!