মোহাম্মদ আনাছ ইসলাম :
ঘরে বসে আর কত? মানুষ এখন ধৈর্যহারা। বাধ্য হয়ে খাদ্যের জোগান দিতে নেমে আসতে হয় যার যার নিজ কাজে। দীর্ঘ দিন লকডাউন থাকার কারণে খাদ্যের অভাবে কাতর ছিলো নিম্নবিত্তরা।
বাংলাদেশ সরকার সর্বদিক বিবেচনা করে লকডাউন খুলে দিয়েছে। সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে গেলেও মেনে চলছে না নিয়মনীতি। নেই কারো মুখে মাস্ক, নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। সবাই নিজের মতো করছে চলাফেরা। এমন অসচেতনত ভাবে চলাফেরা করলে সামনে আমাদের অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। আর প্রশাসনেরও নেই আগের মতো নজরদারী। আগের মতো নজরদারী করলে অনেকটা সফলতা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরেজমিনে কুমিল্লা জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রচুর মানুষের আনাগোনা রয়েছে। বিশেষ করে পোশাক ও জুতার দোকানে বেশি ভিড়। ক্রেতাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই লক্ষ্যনীয়। সঙ্গে করে তারা শিশু সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে দোকানগুলোয় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন তারা। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। এমনকি বেশিরভাগ দোকানের বিক্রয়কর্মীদের হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক নেই। যাদের মাস্ক আছে তারা সেটি নাক-মুখ থেকে নামিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন। এমন অসচেতনতা ও অসতর্কতা অনেক বড় হুমকির কারণ হতে পারে।