১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

লকডাউনে কর্মহীন কুমিল্লার ৩০ হাজার পরিবহন শ্রমিক

  • তারিখ : ১০:০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১
  • / 407

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

কুমিল্লায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবহন শ্রমিক টানা লকডাউনে আয়শূন্য হয়ে পড়েছেন। খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সর্বাত্মক লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আন্তজেলা ও উপজেলা যোগাযোগের মাধ্যম বাসগুলো বন্ধ থাকায় গত ২৩ দিনেরও বেশি সময় বেকার হয়ে আছেন হাজার হাজার শ্রমিক।

পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমানো টাকা যা ছিল তা দিয়ে লকডাউনের প্রথম দিকেই শেষ হয়ে গেছে। এখন ধার-দেনা করে কোনো রকম দিন পার করতে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। রিকশা, অটোরিকশা কিংবা সিএনজি চালাচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার দিনমজুর হিসেবে বেছে নিয়েছেন ঘরবাড়ি-কলকারখানার কাজ। কেউ আবার হতাশাগ্রস্ত হয়ে মাদকসক্তও হয়ে পড়ছেন।

শনিবার (১ মে) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা, চকবাজার ও জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ঘুরে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালের বেশ কয়েকজন বাসের স্টাফ জানান, কাজকর্ম নেই, তারপরও বাসগুলোর মায়ায় টার্মিনালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। লকডাউন শেষ হওয়ার আশায় দিন গুনছেন এসব শ্রমিক।

তিশা পরিবহনের ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। জমানো টাকা বলতে কিছু নেই। লকডাউন আরও বাড়লে কী খাব, কী করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।’

ইতোমধ্যে কুমিল্লা জেলার তিনটি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রণোদনার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, বেশ কিছু পরিবহন মালিকরা তাদের শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর কুমিল্লা জেলার শ্রমিকদের তালিকা দেয়া আছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার জানামতে, কুমিল্লার পরিবহন মালিকরা তাদের শ্রমিকদের লকডাউনের স্থবির সময়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে আসছেন। তবে অনেকে আছেন যারা ছোট পরিবহন ব্যবসায়ী। ধারদেনা করে বাস চালান। তারা কীভাবে শ্রমিকদের চালাচ্ছেন তা আমার জানা নেই। আশা করছি, সরকার পরিবহন শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।’

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিবহন শ্রমিকরা এমনিতেই পাবেন। তারপরও কারো যদি কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তারা যেন শ্রমিক সংগঠনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে জানায়। তাহলে আমরা পরিবহন শ্রমিকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’

শেয়ার করুন

লকডাউনে কর্মহীন কুমিল্লার ৩০ হাজার পরিবহন শ্রমিক

তারিখ : ১০:০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

কুমিল্লায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবহন শ্রমিক টানা লকডাউনে আয়শূন্য হয়ে পড়েছেন। খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সর্বাত্মক লকডাউনে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আন্তজেলা ও উপজেলা যোগাযোগের মাধ্যম বাসগুলো বন্ধ থাকায় গত ২৩ দিনেরও বেশি সময় বেকার হয়ে আছেন হাজার হাজার শ্রমিক।

পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমানো টাকা যা ছিল তা দিয়ে লকডাউনের প্রথম দিকেই শেষ হয়ে গেছে। এখন ধার-দেনা করে কোনো রকম দিন পার করতে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে অনেকে এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। রিকশা, অটোরিকশা কিংবা সিএনজি চালাচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার দিনমজুর হিসেবে বেছে নিয়েছেন ঘরবাড়ি-কলকারখানার কাজ। কেউ আবার হতাশাগ্রস্ত হয়ে মাদকসক্তও হয়ে পড়ছেন।

শনিবার (১ মে) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা, চকবাজার ও জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ঘুরে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালের বেশ কয়েকজন বাসের স্টাফ জানান, কাজকর্ম নেই, তারপরও বাসগুলোর মায়ায় টার্মিনালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। লকডাউন শেষ হওয়ার আশায় দিন গুনছেন এসব শ্রমিক।

তিশা পরিবহনের ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। জমানো টাকা বলতে কিছু নেই। লকডাউন আরও বাড়লে কী খাব, কী করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।’

ইতোমধ্যে কুমিল্লা জেলার তিনটি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রণোদনার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, বেশ কিছু পরিবহন মালিকরা তাদের শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর কুমিল্লা জেলার শ্রমিকদের তালিকা দেয়া আছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার জানামতে, কুমিল্লার পরিবহন মালিকরা তাদের শ্রমিকদের লকডাউনের স্থবির সময়ে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে আসছেন। তবে অনেকে আছেন যারা ছোট পরিবহন ব্যবসায়ী। ধারদেনা করে বাস চালান। তারা কীভাবে শ্রমিকদের চালাচ্ছেন তা আমার জানা নেই। আশা করছি, সরকার পরিবহন শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।’

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সহযোগিতা পরিবহন শ্রমিকরা এমনিতেই পাবেন। তারপরও কারো যদি কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তারা যেন শ্রমিক সংগঠনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে জানায়। তাহলে আমরা পরিবহন শ্রমিকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’