০২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

লাকসামে সচেতনতার অভাব! মাস্কে অনীহা জনসাধারণের

  • তারিখ : ১০:১০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 761

লাকসাম প্রতিনিধি :

দেশব্যাপী ২য় দফায় মহামারী করোনার আগ্রাসন শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পক্ষান্তরে লাকসামে দিন দিন কমছে জনসচেতনতা। মাস্ক পরিধানে অনীহা জনসাধারণের। নিয়মিত প্রশাসনিক তদারকি থাকলেও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লাকসামের জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা নেই বললেই চলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে প্রখ্যাত হওয়ার কারণে প্রতিদিনই লাকসামের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার মানুষ এ বাজারে ভীড় জমায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক পরিধানে জোর তাগিদ দেয়া থাকলেও জনসাধারণ তা মানছেন না। জরিমানা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ মাস্ক কিনে তা পকেটে রেখে দেন। আবার কেউ কেউ মুখে মাস্ক না পরে তা থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখেন। পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের গাড়ী দেখলে জরিমানা থেকে বাঁচতে তা মুখে টেনে নেন। এ যেন করোনার সাথে লুকোচুরি! একই দৃশ্য আশপাশের প্রায় প্রত্যেকটি বাজারেও দেখা যায়।

লাকসামে করোনার আবির্ভাবের পূর্বে সাধারণ মানুষ যেভাবে মাস্কবিহীন অবাধ চলাচল করতো, এখনও ঠিক সেভাবেই চলাচল করে। প্রতিদিন দৌলতগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি বাজারেই দিনভর মানুষের উপচে পড়া ভীড় থাকে। সরকার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও তৃণমূল পর্যায়ে মাস্ক পরিধানে গুরুত্ব দিচ্ছে না বেশির ভাগ মানুষ।

মাস্ক পরিধানে জনসাধারণকে বাধ্য করতে প্রশাসনের আরো কঠোর ভূমিকা রাখা দরকার বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েকদিন পর পর জনবহুল সড়কের মোড়ে মোড়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করারও দাবি জানান তারা।

শেয়ার করুন

লাকসামে সচেতনতার অভাব! মাস্কে অনীহা জনসাধারণের

তারিখ : ১০:১০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

লাকসাম প্রতিনিধি :

দেশব্যাপী ২য় দফায় মহামারী করোনার আগ্রাসন শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পক্ষান্তরে লাকসামে দিন দিন কমছে জনসচেতনতা। মাস্ক পরিধানে অনীহা জনসাধারণের। নিয়মিত প্রশাসনিক তদারকি থাকলেও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লাকসামের জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা নেই বললেই চলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে প্রখ্যাত হওয়ার কারণে প্রতিদিনই লাকসামের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের কয়েক উপজেলার মানুষ এ বাজারে ভীড় জমায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক পরিধানে জোর তাগিদ দেয়া থাকলেও জনসাধারণ তা মানছেন না। জরিমানা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ মাস্ক কিনে তা পকেটে রেখে দেন। আবার কেউ কেউ মুখে মাস্ক না পরে তা থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখেন। পুলিশ বা উপজেলা প্রশাসনের গাড়ী দেখলে জরিমানা থেকে বাঁচতে তা মুখে টেনে নেন। এ যেন করোনার সাথে লুকোচুরি! একই দৃশ্য আশপাশের প্রায় প্রত্যেকটি বাজারেও দেখা যায়।

লাকসামে করোনার আবির্ভাবের পূর্বে সাধারণ মানুষ যেভাবে মাস্কবিহীন অবাধ চলাচল করতো, এখনও ঠিক সেভাবেই চলাচল করে। প্রতিদিন দৌলতগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি বাজারেই দিনভর মানুষের উপচে পড়া ভীড় থাকে। সরকার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও তৃণমূল পর্যায়ে মাস্ক পরিধানে গুরুত্ব দিচ্ছে না বেশির ভাগ মানুষ।

মাস্ক পরিধানে জনসাধারণকে বাধ্য করতে প্রশাসনের আরো কঠোর ভূমিকা রাখা দরকার বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েকদিন পর পর জনবহুল সড়কের মোড়ে মোড়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করারও দাবি জানান তারা।