মো: ওমর ফারুক :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পল্লী চিকিৎসক জামশেদ আলম ভুঁইয়া (৭০) নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিহাটি গ্রামের মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিহাটি কাজি বাড়ি মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এসময় হামলায় ১১ জন আহত হয়েছে। জামশেদ ্আলম ভুঁইয়ার স্থানীয় আজিয়ারা বাজারে ওষুধ দোকান রয়েছে।
এ ঘটনায় জামজেদ আলম ভুঁইয়ার ছেলে তাসাদ্দেক হোসেন ভুঁইয়া এজহারনামীয় ১৩জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তার হলেন, বেলাল হোসেন (৩০), জাহিদুল ইসলাম (২৩), ও সিয়ামুল ইসলাম (২০)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিহাটি গ্রামের কাজি বাড়ির মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজী নজির আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডাঃ কাজী ইয়াছিনের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বাকিহাটি গ্রামের পূর্ব ও দক্ষিণপাড়ার লোকজন এ কমিটি মানতে রাজি হয়নি।
পরে ওইদিন বিকেলে আছর নামাজের সময় বাকিহাটি গ্রামের পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য জাকারুল্লাহ, ম্যানেজার নাসিম হায়দার শাহীন, কালামিয়া, মনির ও আবু ইউছুফের নেতৃত্বে কাজি বাড়ির মসজিদের ভিতরে কাজী বাড়ির হুমায়ুন কবির, মোস্তাক আহমেদ ও কাজী কবিরের সাথে হাতাহাতিতে থেকে মারামারি ঘটনা ঘটে।
এসময় তারা প্রথমে ওই গ্রামের ওমর ফারুক ভুঁইয়ার উপর হামলা করে। পরে হুমায়ুন কবিরের লোকজন কাজি বাড়ির সামনে অবস্থান করলে জাকারুল্লাহর গ্রুপটি পুনরায় পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র লাঠিসোটা, রড, ইট নিয়ে আবার হুমায়ুন কবিরের লোকজনের উপর হামলা করে। এসময় তাদের হামলায় জামশেদ আলম ভুঁইয়াসহ ১৩জন আহত হয়। মাথায় গুরুতর আহত অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জামশেদ আলম ভুঁইয়াকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামরুল ইসলাম বলেন, নিহত জামশেদ আলম ভুঁইয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে নিহতের ছেলে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। এপর্যন্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।